ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চট্টগ্রামে রেলওয়ের শপিংমল-গেস্টহাউস নির্মাণে চুক্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
চট্টগ্রামে রেলওয়ের শপিংমল-গেস্টহাউস নির্মাণে চুক্তি

ঢাকা: সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে শপিংমলসহ হোটেল-কাম-গেস্ট হাউজ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বেসরকারি অংশীদার এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকায় রেলভবনে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে ফোকাল পার্সন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. আহসান জাবির এবং এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন রোড সংলগ্ন জায়গায় ডিজাইন বিল্ড ফাইন্যান্স অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রায় ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। হোটেল, শপিংমল, অফিস, সিনেপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্ট থাকবে, এতে সম্ভাব্য ব্যয় ৪৫ কোটি টাকা। নির্মাণকালসহ ৪০ বছর পরে স্থাপনাটি রেলওয়ের শতভাগ মালিকানায় পরিচালিত হবে। প্রকল্পের সব ব্যয় বেসরকারি অংশীদার বহন করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সরকারের বর্তমান নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রমের ৩০ শতাংশ পিপিপি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুটির চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো।

রেলওয়ের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে রেলপথমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী রেল খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ লাইনকে একমুখী ব্যবস্থা করে সারাদেশকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করা হবে। বর্তমানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর ওপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন পর্যায়ক্রমে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।