ফরিদপুর: ‘আল্লাহর দুনিয়ায় সবার জন্য সরকারি সাহায্য, সুযোগ-সুবিধা থাকলেও আমার ভাগ্যে কিছু জুটেনি। বাবা মারা যাওয়ার পর আর কখনো মেরামত করা হয়নি পাটকাঠি দিয়ে তৈরি শত ছিদ্রের টিনের ঘরটি।
কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত ষাটোর্ধ্ব নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া বেগম রুকি (৬৭)। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে তার শরীর। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রকম অসুখে। ষাটোর্ধ্ব এই মহিলা কানে কম শোনেন দেখতেও পাননা ঠিকমতো।
রুকি ওই উপজেলার মেহেরদিয়া গ্রামের মৃত সোহরাফ মাতুব্বরের স্ত্রী। তার বাবা মৃত আকমল মুন্সী। বাবা ভিটায় জীবন কাটানো রুকি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে ঘর ভেসে যায়। কাদা হয়ে যায় ঘুমানোর জায়গাটুও। আমাকে একটি সরকারি ঘর আরকেটা বিধবা কার্ড করে দিবেন বাহে। তাহলে বাকি জীবন খেয়ে পরে বাঁচতে পারবো। ’
বৃদ্ধা রুকির বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিঃসন্তান বিধবা নারীর স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পরই তিনি বাবার ভিটায় ফিরে আসেন। এখন কামাই রোজগারের কেউ নাই। আয় রোজগারের কোনো উপায় না থাকায় চলেন অন্যের দয়ায়। অর্ধাহারে অনাহারে থাকেন কখনো কখনো। অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলেও খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ নেই।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. তাছলিমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা এলে বৃদ্ধা রুকির বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখা হবে। আপাতত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২২
এনটি