ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

লকডাউনে তিনটি সেক্টর শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
লকডাউনে তিনটি সেক্টর শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

ঢাকা: করোনাকালে ক্ষুদ্র দোকানি, পরিবহন শ্রমিক ও হোটেল রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ (বিলস)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গবেষণা উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।

 

বিলসের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা ঢাকা শহরের ৪০০ শ্রমিক নিয়ে এই গবেষণা করি। এতে দেখা গেছে, দুই দফার লকডাউনে তিনটি সেক্টরের শ্রমিকরা শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেক্টরের শ্রমিকদের ইনকাম হারিয়েছে ৮১ শতাংশ। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবহন সেক্টরে ৯৬ শতাংশ, হোটেলে শ্রমিকরা ৮২ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র দোকানিরা ৬১ শতাংশ ইনকাম হারিয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, লকডাউনের পরে আয় ফিরেছে ৯৩ শতাংশ কিন্তু এখনও ৭ শতাংশ আয় কম আছে।  

গবেষণায় আরও বলা হয়, লকডাউনে এসব সেক্টরের শ্রমিকরা সরকারের সহায়তা পেয়েছে ৩ শতাংশ। এরমধ্যে ২ শতাংশ নগদ ও খাদ্য সহায়তা এবং ১ শতাংশ বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পেয়েছি। ঠিক এই সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সেক্টরে ৩৬ শতাংশ শ্রমিক করোনার টিকা নিয়েছেন। বাকিরা এখনও টিকা নিতে পারেননি বলেও জানানো হয়।

গবেষণা থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, শ্রমিকদের কমপ্লিট ডাটাবেজ তৈরি করা, বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের জন্য সহায়তা চালু করা, একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি  করা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া, যারা চাকরিচ্যুত হবে তাদেরকে ইনসেনটিভ দিতে হবে, যেসব শ্রমিক বেকার হয়ে যাবেন তাদের একটি সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা দেওয়া, রেশনের ব্যবস্থা, দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যাংকের ঋণের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল, নিয়োগপত্র প্রদান ও তিনটি সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

এসময় বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন বলেন, দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কিছু তৈরি হয়নি। আগে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়ালে এক দুইজন ভিক্ষুক দেখা যেত। আর এখন সেটা ১০ থেকে ১৫ জনেও ওপরে দেখা যায়। দেশ উন্নত হলেও শ্রমিকদের জন্য কিছু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আগে শ্রমিকরা যে বেতন পেতেন তাতে মাস চলে যেত। কিন্তু এখন আট হাজার টাকা বেতনে শ্রমিকদের ১৫ দিনও চলে না। তাই শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, বিলসের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এসএমএকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।