ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে জেলা পরিষদের সদস্য জে.এম হাতেম ইঞ্জিনিয়ারসহ ৮ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে রানাপাশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) সাইদুল ইসলাম মন্টু নলছিটি থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজহারভুক্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের সোবাহান সিকদারের ছেলে মনির সিকদার, উত্তর রানাপাশা গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার, একই গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের ছেলে মো. রাজিব, মো. মাইনুল, উত্তর কাঠিপাড়া গ্রামের আশ্রাফ আলী খানের ছেলে ফয়সাল, একই গ্রামের আদম আলীর ছেলে মো. জুয়েল ও সুবিদপুর গ্রামের মো. মজিবরের ছেলে জুয়েল।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নলছিটি লঞ্চঘাট এলাকায় খোকন মোড়লের চায়ের দোকানের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার ও মেম্বার সাইদুল ইসলাম মন্টুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, লঞ্চযোগে ঢাকা যাওয়ার পথে পূর্ববিরোধের জের ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় আাসামিরা দা, লোহার রড, হকিস্টিক ও হাতুড়ি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তার প্রাণ রক্ষায় ইউপি সদস্য মন্টু এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তারা মন্টুর পকেটে থাকা নগদ ৩৮ হাজার ১শ' টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য মন্টুর ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত মন্টুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠান।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, জুয়েল নামে এক আসামিকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড