ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি জায়গার মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে মো. মিজান শরীফ নামে এক ব্যক্তিতে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া মিজানকে মাটি উত্তোলনে সহযোগিতা করায় আরও তিন জনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করাও হয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ধুলজোড়া গ্রামের শরীফ বাড়ির কাছে কুমার নদের পাড় থেকে মাটি উত্তোলন করছিলেন একই গ্রামের মিজান শরীফ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম। কুমার নদের মাটি উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে মিজানকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড (উভয়দণ্ড) দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের অতিরিক্ত আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া এ কাজে ভেকু মেশিন (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে মাটি তোলা এবং গাড়ি দিয়ে মাটি পরিবহন করার কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে তিন জনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) নৃপেন পুইস্তা।
বোয়ালমারীর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, মাটি ও বালু খেকোদের পুনরায় সতর্ক করা হলো। পরবর্তীকালে অধিকতর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এসআরএস