‘পোয়ার (ছেলে) লাগি দুয়া করি, আল্লায় তানরে (তাকে) বড় করতা। ঠাণ্ডায় খুব কষ্টে আছলাম (ছিলাম)।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল উপহার পেয়ে তার মতো গৃহিনী রাজেদা বিবি (৬০) ও চা দোকানি নাদিম মিয়া (৪৫) বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। শীতের মাঝে খুব কষ্ট হয়। এতো ঠাণ্ডায় বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে শীত নিবারণ করতে পারবো। ’
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও দৈনিক কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মৌলভীবাজার জেলা শাখার আয়োজনে কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র, রিকশাচালক, শ্রমিক, শব্দকর, দিনমজুর, দোকানিসহ ৩ শত শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
আজ রবিবার ১৬ জানুয়ারি উপজেলার উজিরপুর কাজী বাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভসংঘ মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক তাকবীর হোসাইন মান্নার সভাপতিত্বে ও কালের কণ্ঠের কমলগঞ্জ প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শামীম আল মামুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী সিরাজী, উপজেলা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, দৈনিক আজকালের খবরের কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আহমেদুজ্জামান আলম, দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি রুহুল ইসলাম হৃদয়, সমাজসেবক জমির আলী প্রমুখ।
কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে কম্বল বিতরণ করছে না। প্রতিনিয়তই মানবতার সেবায় বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। তারা যেকোনো দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদের এ মহৎ উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিককে কমলগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বসুন্ধরা গ্রুপ ভবিষ্যতেও অসহায় মানুষের জন্য সহায়তার হাত প্রসারিত করবে বলে আশাবাদী। ’
এছাড়াও শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরববাজার এলাকায় আরোও তিন শতাধিক শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এসআই