বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মোছা: লিজা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো: সোহেল রানাকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামস্থ বসতবাড়ির নিজ শয়নকক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানার স্ত্রী ৷
জানা যায়, তিনবছর আগে শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো: সোহেল রানার সঙ্গে পাশের খামারকান্দি ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছা: লিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী সোহেল রানা পেশায় একজন শ্রমিক। প্রতিদিনে মজুরির যে টাকা পান তা দিয়েই সংসার চলে তাদের। তাই সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এই কারণে প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র সত্তর টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এমনকি ওই ঝগড়ার জেরধরে রোববার সকালে লিজা খাতুনকে মারধর করেন স্বামী সোহেল রানা। পরে বিকেলে শয়নকক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রহস্যজনক এ মৃত্যুতে এলাকায় নানান গুঞ্জন দেখা দিলে পুলিশ নিহতের স্বামী সোহেলকে আটক করে৷ তবে তার দাবি, তার স্ত্রী অভিমান করে নিজেই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখন বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই এই রহস্যের জট খুলবে। এরপর সেই মোতাবেক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
কেইউএ/এনএটি