ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সন্তানকে অপহরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সন্তানকে অপহরণ

ঢাকা: পার্শ্ববর্তী বাসার ভাড়াটিয়া ইসমাইল হোসেন জীবন ওরফে আকাশ (২৬) বিভিন্ন সময় রাশিদা খাতুনকে (২১) উত্ত্যক্ত ও অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাশিদার তিন বছরের শিশু সন্তানকে অপহরণ করে দীর্ঘ ৮ মাস রেখে দেয় আকাশ।

অপহরণের পর থেকেই শিশুটির মা রাশিদা এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছেই ধর্না ধরলেও কোনো লাভ হয়নি। এরপর ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) মোবাইলে বিষয়টি জানান তিনি।

বিষয়টি আমলে নিয়ে মাত্র তিন দিনের মধ্যে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার যাত্রাবাড়ী গ্রাম থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আর গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারী ইসমাইল হোসেন জীবন ওরফে আকাশকে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. আশরাফ হোসেন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী বাসার ভাড়াটিয়া অপহরণকারী ইসমাইল হোসেন জীবন বিভিন্ন সময় রাশিদা খাতুনকে উত্ত্যক্ত ও অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। আকাশ অসৎ উদ্দেশে তার শিশু সন্তানকে চকলেট ও চিপস দিয়ে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করতো। এক পর্যায়ে গত বছরের ১৫ জুন সন্ধ্যায় শিশুটিতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর শিশুটির কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের মা রাশিদা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসামির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।  

রাশিদা খাতুন আকাশের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে আসামি জানায়, তার ছেলেকে কাগজপত্র করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রাশিদা খাতুন তার ছেলেকে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। রাশিদা খাতুন তার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও উদ্ধার করতে পারেনি।

রাশিদা খাতুনের লেখাপড়া না থাকায় এবং কারো কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে উদ্ধারের বিষয়ে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারেনি। বিষয়টি ডিবির দৃষ্টি গোচরে এলে দ্রুততম সময়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, রাশিদা খাতুন দক্ষিণখানের জামতলা আলমাস উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। তিনি উত্তরার বিভিন্ন বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গত ৬ বছর আগে পার্শ্ববর্তী থানার মো. মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাশিদা খাতুনের।

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ইসমাইল হোসেন ওরফে জীবন ওরফে আকাশের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।