ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

আলেশা মার্টের টাকা ফেরত পেলেন ১০ গ্রাহক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
আলেশা মার্টের টাকা ফেরত পেলেন ১০ গ্রাহক

ঢাকা: পেমেন্ট গেটওয়েতে এসএসএল কমার্সে আটকে থাকা আলেশা মার্টের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছে সরকার।  

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ১০ গ্রাহকের ২৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আলেশা মার্টের গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিজিটাল কমার্স সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড তথা ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটন, লেনদেন সৃষ্ট ভোক্তা বা বিক্রেতা অসন্তোষ, প্রযুক্তিগত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আজ ১০ গ্রাহককে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দিচ্ছি। এটা শুভ সূচনা। আমরা মনে করি, যেসব কোম্পানিগুলো অভিযুক্ত আছে বা মামলা আছে সেটাকেও কমিটির (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মাধ্যমে উপায় বের করা হবে। যে টাকা ফেরতযোগ্য, উদ্ধার করা যাবে সেই টাকাগুলো যেন গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হয়।  

তিনি বলেন, গ্রাহকদের সবচেয়ে বড় কনসার্ন ছিল যারা এসব কোম্পানিকে টাকা দিয়েছে তাদের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কিনা। যেকোনো ব্যবসা আইনের মধ্যে চলে, এখানে নিজের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতারণা হলে সেটা অনলাইন বা অফলাইন হোক গ্রাহকের বা রাষ্ট্রের মামলা করার অধিকার রয়েছে। আমরা জানি ফৌজদারি মামলা রাষ্ট্রও করতে পারে, পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়। সুতরাং প্রতারণা করলে মামলা করা যাবে না এমন কোনো বিধান দেশের আইনে নেই।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আইন যিনি ভঙ্গ করবেন তিনি ব্যবসায়ী বা যেই হোক তার বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে দেওয়া যায় সেটি দেখছি। যেগুলোর মামলা হয়নি সেগুলো এভাবে দেওয়া যায়, মামলা থাকলে আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের যে বিচারিক কাঠামো তার মধ্যে থেকে কমিটি চেষ্টা করবে টাকা ফেরত দেওয়ার।

প্রসঙ্গত, এসএসএল কমার্স ও আলেশা মার্ট যৌথভাবে যে তালিকা করেছে সেখানে মোট গ্রাহক ৪৮৫ জন, মোট ট্রাঞ্জেকশন ১ হাজার ১৪৩টি। মোট অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ১৩৬ টাকা। এরমধ্যে আজ ১০ জনকে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা হস্তান্তর করা হলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।