ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রূপপুর ডকপিট রেললাইনের ঢালাইকাজ শেষ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রূপপুর ডকপিট রেললাইনের ঢালাইকাজ শেষ

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের, মালবাহী ট্রেনে করে মালপত্র যাওয়া-আসার রেলওয়ে ইঞ্জিনের যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি আছে কি-না? তা পরীক্ষার জন্য ডকপিট রেল লাইনের ঢালাইকাজ শেষ হয়েছে।  

ঈশ্বরদী লোকোসেড কারখানাতে ডকপিটটি নির্মিত করা হলে একটি মিটারগেজ রেলওয়ে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনসহ ব্রডগেজ নয়টি ইঞ্জিন এক সময়েরই যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সহজ হবে।

 

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার ফতেহ-মোহাম্মদপুরে শতবর্ষের পুরোনা ব্রিটিশ আমলের নির্মিত লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা ঢালাইকাজ শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেললাইন স্থাপন শেষে ডকপিটটি ব্যবহার করা হবে।  

ঈশ্বরদীর ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানা (লোকোসেড) ডকপিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আবু তৌহিদ সুমন, ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা এর ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ (লোকো) শারেক জামান, পাকশীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আতিকুর রহমান, রূপপুর রেললাইন প্রকল্প ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (এসইএল) সিনিয়র প্রকল্প প্রকৌশলী, এম ডি, আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।  

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ (লোকো) শারেক জামান বাংলানিউজকে জানান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ৪০টি ইঞ্জিন তিন শিফটে এখানে আসে। কারণ যতোগুলো লোকোমোটিভ কারখানা আছে। তার বেজ ঈশ্বরদী লোকোসেড।  

ঈশ্বরদী লোকোসেডের ইনচার্জ শারেক জামান আরও জানান, ট্রেন থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে লোকোমোটিভ কারখানায় আসার পর ইনকামিং (আগমনি) চেকিংয়ের কাজ করা হয়। রেলওয়ে ইঞ্জিনের যান্ত্রিক কোনো সমস্যা, ক্রুটি আছে কিনা, তা পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর লোকোসেড ত্যাগ করে। এতোদিন দুটি ব্রডগেজে ছয়টি রেলওয়ের ইঞ্জিন ডকপিটে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা সম্ভব হতো। মিটারগেজের কোনো রেল ইঞ্জিন আসতে পারতো না। বর্তমানে নতুন দুটি ডগফিট নির্মাণ শেষ হলে মিটারগেজের একটি ইঞ্জিনসহ ব্রডগেজ নয়টি ইঞ্জিন দ্রুত কম সময়ে ট্রেনে ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাবে।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আবু তৌহীদ সুমন বাংলানিউজকে জানান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে ৯২টি রেল ইঞ্জিন নিয়মিতই ঈশ্বরদী লোকোসেডে নিয়মিত আসে। আরও ৪০টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন যোগ হবে। কিন্তু ট্রেন বাড়ছে রেলওয়ের, নতুন ইঞ্জিন আসছে। পূর্বে যে পুরোনা ডকপিট ছিল। নতুন লোকোমোটিভ ইঞ্জিনগুলোর ধারণ ক্ষমতা বেশি। সেই বৃটিশ আমলের পুরোনা রেল লাইনে রেলইঞ্জিনের পরীক্ষা যাচাই-বাছাই করা কঠিন কষ্টকর ছিল।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ মো. আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের আওতাধীন, রেলওয়ে ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ক্রুটি পরীক্ষার জন্য নতুন দুটি ডকপিট রেল লাইনের ঢালাইকাজ শেষ হয়েছে। খুব অল্পে সময়ে এই ডকপিট ব্যবহার করা সম্ভব হবে।  

পাকশীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের আওতায় দুটি ডকপিট নির্মাণ কাজ শেষ হলে, মিটারগেজসহ ব্রডগেজ নয়টি ইঞ্জিন একসঙ্গে পরীক্ষা-নিরিক্ষা সহজ হবে। সময় সাশ্রয় হবে বলে জানান ওই রেলওয়ে কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এনটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।