ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সময় বৃদ্ধির আমেজে খুশি প্রকাশক-বইপ্রেমীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
সময় বৃদ্ধির আমেজে খুশি প্রকাশক-বইপ্রেমীরা

ঢাকা: প্রকাশকদের দাবিতে সাড়া দিয়ে অমর একুশে বইমেলার সময় বাড়লো। প্রকাশকদের প্রস্তাবিত সময় অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলার সময় বৃদ্ধি করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

বইমেলার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তে প্রকাশকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। বইপ্রেমীরাও জানিয়েছেন সাধুবাদ।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন,  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেদিন থেকেই আমরা মেলা বাড়ানোর বিষয়ে অনেকটা আশাবাদী ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবিতে সাড়া দিয়েছেন বলে খুবই ভালো লাগছে। কারণ গতবারের মেলায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে এবারের মেলাও দুই সপ্তাহ দেরিতে শুরু হয় বলে আমাদের দাবি ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলার সময় বৃদ্ধি করা হোক। অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হলো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।

মেলার সময় বৃদ্ধিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব প্রকাশকরাই মেলার ১৩তম দিনে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। বেশিরভাগ প্রকাশক মনে করছেন মেলার সময় বাড়ানোতে গতবারের ক্ষতি এবার তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

এদিকে, গতকাল কর্মমুখর দিনেও বইপ্রেমীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল। এদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সবগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বিক্রিই ছিল আশাব্যঞ্জক। এদিনের মেলায় আগতদের বেশিরভাগের হাতেই শোভা পেয়েছিল প্রিয় লেখকের পছন্দের বই।

বিকেল থেকেই অমর একুশের বই মেলায় ছিল বেশি পড়া মানুষের ভিড়। এরপর সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টিতে অনেকেই ছেড়েছেন বইমেলা প্রাঙ্গণ। তবে অনেকেই বইমেলা প্রাঙ্গণ ছাড়লেও বাকি যারা ছিলেন তাদের সংখ্যাও কম নয়। সেই মানুষগুলোই সন্ধ্যার পর সৃষ্ট পরিবেশের একান্ত নিজের মতো করেই কাটিয়েছেন সময় বইয়ের সঙ্গে। পাশের মানুষটিকে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে স্টলে স্টলে অথবা প্যাভিলিয়ন ঘুরে পৃষ্ঠা উল্টানো নতুন বইয়ের। কিনেছেন ও ব্যাগ ভর্তি করে। হাবিব বৃষ্টির কারণে কয়েক টি স্টল বন্ধ করে দেওয়া চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু তাতে বাধা মানে না বইয়ের প্রতি আকর্ষিত হওয়া পাঠকেরা। স্নিগ্ধ বৃষ্টির পর সুন্দর আবহাওয়ায় স্বাধীনতা স্তম্ভকে কেন্দ্র করে যেন সবাই মেতে ওঠে বইয়ের উৎসবে।

রোববার বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, ১৩তম দিনে মেলায় নতুন বই প্রকাশ হয়েছে ৭২টি।   এরমধ্যে গল্পের বই ১০টি, উপন্যাস ১৫ টি,         প্রবন্ধ ৪ টি, কবিতার বই            ১৪টি, গবেষণা  ১টি,      শিশুসাহিত্য ৪ টি, জীবনী ৩ টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ৫ টি, বিজ্ঞানবিষয়ক ২ টি, ইতিহাস ৩ টি,চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ১ টি, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক ২ টি, ধর্মীয় ১ টি.অভিধান ১ টি, সায়েন্সফিকশন ২ টি ও অন্যান্য ৪ টি।           

এদিনের উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এনেছে ড. মোহাম্মদ আমীনের অভিধানগ্রন্থ ‘পৌরাণিক শব্দের উৎস ও ক্রমবিবর্তন’, পারিজাত প্রকাশনী এনেছে সৈয়দা হাবিবা মুস্তারিনের কাব্যগ্রন্থ ‘ফিরে এলে না’, শোভা প্রকাশ এনেছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত (অখ-)’, উত্তরণ এনেছে রহমান ফাহমিদার ‘সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ ও শেখ আবদুল চাষীর ‘একাত্তরের বীরাঙ্গনা ও রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ’ কথাপ্রকাশ এনেছে চলচ্চিত্র বিষয়কপ্রবন্ধ ‘চলচ্চিত্রযাত্রা তারেক মাসুদ’ ও হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস ‘দুর্যোধন’, স্বরবৃত্ত প্রকাশন এনেছে সেলিনা হোসেনের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ‘একাত্তরের ঢাকা’, প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এইচএমএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।