ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
বাগেরহাটে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি

বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়া উপজেলার বাঁধাল বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন হয়।

এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, এনজিও ফোরাম ও জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  নকীব নজিবুল হক নজু, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নকীব লুতফর রহমান, মসনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দে, বাঁধাল ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওহিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ, জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভাপতি শেখ আসাদ, উদয়ন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা আক্তার মুক্তি প্রমুখ।  

ভিকটিমের সহপাঠীরা বলেন, আমাদের বোনকে যে নরপশুরা অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।   আমরা যেন নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে পারি সে বিষয়েও সরকারের প্রতি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাচ্ছি।

ভিকটিমের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ কুমার দে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের একজন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে যে বখাটেরা নির্যাতন করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে। সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার বলেন, ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমেছে। আওয়ামী লীগ কখনো অন্যায়ের প্রশ্রয় দেয় না। অবিলম্বে এই ধর্ষকদের কঠোর বিচার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই স্কুলছাত্রীকে কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামের স্থানীয় চার বখাটে গণধর্ষণ করে। গুরুতর অবস্থায় ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার।
এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় একটি মামলা করেন। এরই মধ্যে কচুয়া উপজেলার শাখারিকাঠি এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি এজাজুল মোল্লাকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।