ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা

রাজশাহী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও সে দেশের জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে এই সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। এই মিলনমেলা প্রমাণ করলো উভয় দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে যারা অপচেষ্টা চালায় এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের নিবৃত্ত করা সম্ভব। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের মিলনমেলার আয়োজন করা হবে।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহীর টি-বাঁধে বাংলাদেশ-ভারত ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় অংশ নিতে আসা ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের (ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার) সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরীসহ অন্যান্য অতিথিদের জন্য চা-চক্র এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন রাসিক মেয়র।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের (ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার) সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরীসহ অন্য ভারতীয় অতিথিবৃন্দ। এছাড়া ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক এসএম সামছুল আরেফীন, প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কবি আরিফুল হক কুমারসহ এবং  রাসিক কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টি-বাঁধ থেকে পশ্চিমে হাইটেক পার্ক এবং পূর্বে পঞ্চবটি আই-বাঁধ পর্যন্ত অতিথিদের নিয়ে পদ্মা নদীতে নৌ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। পদ্মানদী ও পদ্মাপাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা।

এ সময় পদ্মা নদীর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে নৌরুট চালু ও নৌবন্দর স্থাপনের সম্ভাবনা ভারতীয় অতিথিদের দেখান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে জানান, রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনীতি গতিশীল করতে পদ্মা নদীতে ভারতের সঙ্গে নৌরুট চালু ও রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপনে দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী পর্যন্ত পদ্মা নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌরুট চালু করা সম্ভব। নৌরুট চালুর মাধ্যমে রাজশাহী নৌবন্দর স্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নৌরুট চালু করা সম্ভব হলে পাথর, কয়লাসহ গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য আমদানিতে রাজশাহী নৌবন্দর যেমন গুরুত্ব রাখবে, তেমনি বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতেও কাজে লাগবে। নদী পথে পণ্য পরিবহন ব্যয় সড়ক পথের তুলনায় কম। সেক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝেও আগ্রহ আছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনীতি শক্তিশালী করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।