ঢাকা: রাজধানীর ডেমরায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে ডেমরার বালুরমাঠের ছোট পাইটি এলাকায় একটি এক তলা বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য হলেন যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক সুমন। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। কয়েকদিন আগে তার বাসায় শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ে পুষ্পিতা ও তার স্বামী কনস্টেবল রাজু আহমেদ বেড়াতে আসেন। রাজু আহমেদ টুরিস্ট পুলিশে কর্মরত।
ডাকাতির ঘটনায় সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ফারজানা আফরোজ বাদী হয়ে ডেমরা থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত বাসার কেচিগেট ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা শাবল দিয়ে বাসার কাঠের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতদের হাতে ছুরি, চাপাতি, লোহার রড ও শাবল ছিল। সবাই ছিল মুখোশ পরিহিত। তারা এসআই আজিজুলের গলায় ছুরি ধরে তাকেসহ স্ত্রী, শাশুড়ি, ভাগ্নি, ভাগ্নির স্বামী ও তাদের সন্তান শাহরিয়ার অর্নবের (১৫) হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় কনস্টেবল রাজু আহমেদ চিৎকার করলে ডাকাতরা তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করে। ডাকাতদল ফারজানা আফরোজের গলার স্বর্ণের চেইন, হাতের আংটি, স্বর্ণের চুড়ি, কানের দুল টেনে ছিঁড়ে নেয়। পরে আফরোজার মায়ের শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কারগুলো একইভাবে ছিনিয়ে নেয়। সব মিলিয়ে তারা আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি হাত ঘড়ি ও ৫০ হাজার টাকা লুট করে। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। ডাকাতরা প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বাসার ভেতরে অবস্থান করে এ লুট চালায়।
ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি ডাকাতির ঘটনা। তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এসজেএ/আরবি