কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপভ্যান মালিক মাহামুদুল করিমকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ভোরে চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পিবিআই’র পরিদর্শক মো. এনামুল হক চৌধুরী।
তিনি জানান, পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন পিকআপ ভ্যান মালিক মাহমুদুল করিম। সর্বশেষ আমাদের কাছে গোপন খবর আসে তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আত্মগোপনে রয়েছেন। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিবিআই’র একটি দল লোহাগাড়ায় অভিযানে গেলে খবর পেয়ে মাহমুদুল করিম সেখান থেকে চকরিয়ায় নিজ এলাকায় চলে আসেন। পরে তাকে চকরিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পিকআপ ভ্যানের চালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা এলাকায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় একই সঙ্গে পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় গুরুতর আহত তাদের আরেক ভাই রক্তিম সুশীল (৩৫) মারা যান।
বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৮ জানুয়ারি তাদের বাবা সুরেশ চন্দ্র শীল মারা যান। এর ১০ দিন পর বাবার শ্রাদ্ধের একদিন আগে ৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোরে ধর্মীয় আচার শেষে স্থানীয় একটি মন্দির থেকে নয় ভাই-বোন বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কক্সবাজারমুখী একটি পিকআপ ভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সুরেশ চন্দ্রের চার ছেলে অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল ৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর স্মরণ সুশীল (২৫) মারা যান। এ ঘটনার ১৪ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরেশ চন্দ্রের আরেক ছেলে রক্তিম সুশীল মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এসবি/আরআইএস