শরীয়তপুর: দালালের খপ্পরে পড়ে উন্নত জীবনের আশায় ইতালিতে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের পারভেজ হাওলাদার (২২)।
লিবিয়া থেকে সিবোটে করে ইতালি যাওয়ার পথে ভূ-মধ্যসাগরে অনেকের সঙ্গে তিনিও ধরা পড়েন লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী। এ খবরে ওই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
ওই তরুণের বাবা ইউনুস হাওলাদার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামের শামসুদ্দিন পেদার ছেলে রফিক পেদা লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে সাগর পথে ইতালি লোক পাঠান। ওই রফিকের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে পারভেজসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক অবৈধ পথে ইতালি যেতে রাজি হন। ইতালি যেতে প্রত্যেককে আট লাখ করে টাকা দিতে হয় রফিককে।
ইউনুস হাওলাদার বলেন, নয় মাস আগে আমার ছেলে পারভেজকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে যান রফিক। লিবিয়া যাওয়ার সময় রফিককে চার লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। লিবিয়া যাওয়ার পর আরও দুই বার আমার কাছ থেকে টাকা নেন রফিক। আট লাখ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আমার কাছ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ছয় মাস আগে লিবিয়া থেকে নৌপথে ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ার কোস্টগার্ড আমার ছেলে পারভেজসহ অনেককে আটক করে। জেলখানায় না খেয়ে অত্যাচার নির্যাতনে এক মাস আগে আমার ছেলে মারা যায়। কিন্তু এ খবর আমরা কেউ জানতে পারিনি। পারভেজের সঙ্গে ধরা খাওয়া আমাদের এলাকারই এক ছেলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পারভেজের মৃত্যুর খবর জানায়। কিন্তু যে রফিক দালাল আমার ছেলেকে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তিনি আমার ছেলের কোনো খোঁজখবর দেননি। আমি রফিক দালালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, আমি আমার ছেলের লাশ চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
এসআই