গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হালিমা খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে তার ভাই সিফাতুল্লাহকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলাবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় এক কিশোর তার বোনকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা করতে আসে। তখন তার ঠিকানা জানতে চাইলে সে পুলিশের সঙ্গে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলায় বলে জানায়। তখন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার ছোট বোন হালিমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ তাকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
জানা যায়, মঙ্গলাবার দুপুর ১২টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের জাকির হোসেন (৫৫) ও নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) দম্পতির ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এর জেরে মঙ্গলবার স্বামীর ওপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যান। এদিকে জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যান। এ সময় একই বিষয় নিয়ে সিফাতুল্লাহর সঙ্গে তার বোন হালিমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমাকে গলা কেটে হত্যা করে। তাদের বাবা-মায়ে ঝগড়ার সময় হালিমা খাতুন মায়ের পক্ষ নিত। এ কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করে বলে জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২২
আরএ