কুমিল্লা: ‘আমার মাইয়া, আমার কইলজাডা। প্রতিদিন আমার কাছে আবদার করে বলতো, ‘আব্বু, ১০টা টাকা দাও! আর এ কথা কইতো না আমার মাইয়াডা।
বুধবার (০৯ মার্চ) কুমিল্লার সদর দক্ষিণের বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় শিশু রীমারা। সেই আদরের ধনকে হারিয়ে বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী রিপন মিয়া।
রিপন মিয়া বিজয়পুর বাজারে ছেলেকে নিয়ে কাঁচা তরকারির ব্যবসা করেন। দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। নিজের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ছোট মেয়ের নাম রেখেছিলেন রীমা। সেই আদরের ধনকেই তার বুক থেকে কেড়ে নেয় ট্রেন।
জানা যায়, শুধু রীমা নয় তার সঙ্গে কাটা পড়ে তার দুই বান্ধবী তাসফিয়া ও মীম। তারা সবাই বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
এদিকে, রীমার কাটা পড়ার পাশে বিজয়পুর রেলগেটের কাছাকাছি স্থানে পাথরের ওপর পড়ে ছিল রীমার বই। ভাঙা টিফিনকারি, ছড়ানো-ছিটানো ভাত। এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কাউসার হামিদ নামে একজন ছবিটি শেয়ার করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পাথরের ওপর ছড়িয়ে আছে দুপুরের টিফিন আর বই। পাশে টুকরো হয়ে আছে শৈশবের লাশ!’
বুধবার বেলা পৌনে ১২টার সময় মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। তারা সবাই দুর্গাপুর গ্রামে থাকতো।
আরও পড়ুন...
>>> কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
>>>ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ ছাত্রী নিহত: তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
এনটি