ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলার খাদ্য গুদামে চাল সংকট থাকায় জেলে পুর্নবাসনের চাল পাননি জেলেরা।
মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস দেশে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার নিবন্ধিত ১১ হাজার জেলের জন্য ৮৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু গুদামে চাল রয়েছে মাত্র ১৩৮ মেট্রিক টন। এতে সবাইকে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কুদ্দুছ বলেন, আমরা চাল বিতরণের জন্য তাদের বার বার বলেছি, কিন্তু তারা চাল বিতরণ করতে বিলম্ব করেছে। এখন গুদামে পর্যাপ্ত চাল নেই। তাই সব ইউনিয়নে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত চাল এনে সবাইকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল মালেক বলেন, আমাদের গুদামে বোরো চাল পর্যাপ্ত নেই। তাই বিতরণে দেরি হচ্ছে। খুব দ্রুত চাল আসবে, তখনই বিতরণ হবে।
এদিকে লালমোহনে চর ভূতা ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হলেও বাকি আট ইউনিয়নের জেলেরা চাল পাননি। এতে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছে জেলেদের মধ্যে। জেলেরা কবে চাল পাবেন, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
জেলে মনির, ইয়াছিন, মালেক ও মোকশেদ জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমরা নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছি, তাই অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। আমরা
এখনো চাল পাইনি। কবে পাব, তাও জানি না।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে চাল না পাওয়ায় অভাব-অনটনের মধ্যে পড়েছেন জেলেরা।
লালমোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, আমার ইউনিয়নের কোনো জেলে চাল পাননি, শুনছি দ্রুত চাল আসছে। চাল বিতরণে দেরি হওয়ায় কষ্টে আছেন জেলেরা।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, চাল সংকট থাকায় বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। আমরা খুব দ্রুত চাল বিতরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, দুই/তিনদিনের মধ্যে জেলেরা চাল পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসআই