বরগুনা: বেসরকারি হিসাব মতে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তালতলী উপজেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে ২১১টি। বন্ধ করা হয়েছে ৩০২ জনের বাল্যবিয়ে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তালতলী উপজেলা অডিটোরিয়ামে জাগো নারীর আয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, বাল্যবিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত সরকারি সেবাগুলোর জন্য প্রতিটি দলের কাছে দেওয়া হয়েছে হটলাইন নম্বর। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১২০ জন নারীর দল রয়েছে। প্রতিটি দলে ২৫ জন করে সদস্য আছেন। প্রতিমাসে নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ের ওপর সচেতনমূলক মিটিং করা হয় তাদের নিয়ে। প্রায় ৩ হাজারের মতো উপকারভোগী রয়েছেন এ প্রকল্পে। যার মধ্যে নারী উপকারভোগী ১৫০০, পুরুষ ৭৫০ এবং কিশোর-কিশোরী ৭৫০ জন।
জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০ জনের মধ্যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। করোনো মহামারীর সময়ে অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে ৩৫০ জনের মধ্যে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা বাবদ ৩৩ জনকে ৩৬ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দেনমোহর আদায়ের জন্য ৬০ লাখ ও খোরপোষ আদায় বাবদ ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
তালতলীর জাগো নারীর তথ্যে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তালতলীতে ১৫৭ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৮৮ জন মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের অভিযোগ এসেছে ২৪টি এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে ৪টি। খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েও দিন দিন এলাকার মানুষের মধ্যে শারীরিক নির্যাতন বেড়েই চলেছে। এসব তথ্য উপস্থাপন করে সবাইকে সচেতনতার বার্তা দেয় জাগো নারী সংগঠন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হোসেন, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলাম, জাগো নারী প্রকল্প সমন্বয়কারী রাবেয়া আক্তার মুন্নিসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
এসআই