নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং চার জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
এর আগে ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আট জনের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তীরে আসা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিখোঁজ চার জনের তালিকা পেয়েছি। আমাদের উদ্ধারকারী দল কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়।
সর্বমোট আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই মুন্সিগঞ্জের, একজন সোনারগাঁওয়ের। দুই জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পরিচয় পাওয়া পাঁচ জন হলেন- সোনারগাঁও হরিয়ান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।
নিখোঁজ চার জন হলেন- ঢাকা ডেমরার আব্দুল্লাহ আল যাবের আদনান (৩২), মুন্সিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫), আরোহী ও জোবায়ের হোসেন।
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: আরো ১ মরদেহ উদ্ধার
>>> নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা
>>> শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: জাহাজসহ চালক আটক
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
>>> শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: চারজনের মরদেহ উদ্ধার
>>> শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবি, নিখোঁজ অনেকে
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এমআরপি/কেএআর