পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে ধরে নিয়ে বিশেষ অঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও পরে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী যুবকের বাবা মো. বাবুল শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তার বড় ছেলে মো. হাফিজুর রহমানকে (২৪) গত ১৯ মার্চ সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বুলুর নির্দেশে তার সহযোগী উপজেলার বাঘাজোড়া গ্রামের মো. রুবেল খান ও মো. শহিদুল ইসলাম শেখ (শহিদ) ধরে নিয়ে যায়। পরে নেয়ামত সর্দারের বালুর গোলায় নিয়ে তাকে স্থানীয় জেহাদের মুদি দোকান চুরির সঙ্গে জড়িত অভিযোগ দিয়ে ৪-৫ জন মারধর ও তার বিশেষ অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে নির্যাতনকারীরা মো. বাবুল শেখকে ডেকে নিয়ে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু তিনি টাকা না দেওয়ায় ছেলেকে পুলিশে দেয় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা আরো অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে চুরি, মাদক বিক্রিতে জড়িতসহ বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন বুলুরসঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ওই যুবকের বাবার কাছে কোনো চাঁদা চাওয়া বা ওই যুবকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। জানান, ওই যুবক চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ হওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে থাকা চেয়ারম্যানের সহযোগী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, চুরির স্বীকারোক্তির জন্য স্থানীয়রা ওই যুবককে দুয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৮ মার্চ রাতে স্থানীয় কলেজ মোড়ে সংগঠিত একটি চুরির অভিযোগে এলাকার কিছু লোক মো. হাফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ওই অভিযোগে পরে মুদি দোকান মালিক মো. জেহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ২১ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড