চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় মাসুমা খাতুন (১৮) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় আবুল কালাম (২৪) নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাতে তাকে কোপানোর কারণে এলাকায় তিনি “দা’ কামাল” বলেও পরিচিত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কালামকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত কালাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আরামপাড়া গোরস্থান এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদরাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই আবুল কালামকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তাতে মাসুমার পরিবার রাজি ছিল না। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে কালাম পরে মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধর ও গালমন্দ করেন কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন মাসুমা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আসামি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অর্ধ ডজন মামলার আসামি বখাটে কালাম চুয়াডাঙ্গা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি যখন তখন কোপাতেন। ২০২০ সালে ছাত্রলীগ নেতা জোবায়ের রিগান ও তার মামা কৃষক লীগ নেতা মহসীন রেজাকে কুপিয়ে জখম করেছিলেন কালাম। দা নিয়ে কোপানোর জন্য তাকে এলাকায় দা’ কামাল নামেও ডাকা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
এসআই