ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলগেট এলাকায় দুর্বৃত্তের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের সময় তার গাড়িতে তার ড্রাইভার মুন্না ছাড়াও আরও দু‘জন ছিলেন। তারা ছিলেন পেছনের সিটে।
তারা সব সময় তার সঙ্গেই থাকতেন। ঘটনার পরপর গুলিবিদ্ধ টিপুকে তারাই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনার সময় জাহিদুল ইসলাম টিপুর বসা ছিলেন চালক মুন্নার পাশের সিটে। আর পেছনের সিটে ছিলেন দুই ব্যক্তি। তারা টিপুর সঙ্গে সব সময় থাকতেন। গুলির ঘটনার পরপরই টিপুকে তারা হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় গাড়িতে থাকা টিপু ও চালক গুলিবিদ্ধ হলেও ওই দু‘জন অক্ষত ছিলেন। ঘটনার অনুসন্ধানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তবে তিনি জানান, ঘটনার সময় গাড়ির গ্লাস লাগানো ছিল। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলি গ্লাস ভেদ করে গাড়ির সামনের সিটে বসা টিপুর গায়ে লাগে। তারপর হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। কে বা কারা কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানতে তদন্ত চলছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা তিনি জানান, গুলির ঘটনার সময় ওই গাড়িতে পেছনের সিটে বসা ছিলেন টিপুর ম্যানেজার মিরাজ ও তার পরিচিত আবুল কালাম। তারা প্রায় সব সময় তার সঙ্গেই থাকতেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত সোয়া ১০টার দিকে রেলগেটের কাছে মাইক্রোবাসে থাকা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু দুর্বৃত্তদের গুলিতে মারা যান। এসময় তার গাড়ির চালক গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া এসময় পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া প্রীতি নামে এক শিক্ষার্থীর গায়েও গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
নিহত টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির পাঁচবারের সদস্যও ছিলেন এবং তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি সংরক্ষিত ১-১১-১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর বলে জানা গেছে। টিপু এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
আর প্রীতির বাসা শান্তিবাগ মগা হাজীর গলিতে। আর সুমাইয়ার বাসা তিলপাপাড়া। রাতে তারা দু’জন ঘুরতে বের হয়েছিলেন। সুমাইয়া তাকে রেলগেট থেকে রিসিভ করে রিকশায় করে তিলপাপাড়ায় তার বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে আমতলা মসজিদ এলাকায় হঠাৎ কোথা থেকে গুলি এসে প্রীতির শরীরে বিদ্ধ হয়। প্রীতি বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন:
ঢাকায় গুলিতে আ.লীগ নেতা ও কলেজছাত্রী নিহত
আ.লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা
গুলিতে নিহত ২: কিলিং মিশনে হেলমেট পরা একজন!
চার-পাঁচ দিন আগেই হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন জাহিদুল
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এজেডএস/এসআই