ঢাকা: পাকিস্তানের ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। ২৫ মার্চ কালরাতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর হাতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিনগত রাতে নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর বিনা প্ররোচনায় অতর্কিত ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, এ গণহত্যা দিবস আমাদের জন্য একইসঙ্গে বেদনাদায়ক ও কষ্টের। ২৫ মার্চের এ হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সব বৈশিষ্ট পূরণ করে বিধায় এটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা যথাযথ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যারা গণহত্যায় সহায়তা করেছিল, বিভিন্নভাবে গণহত্যার মতো ঘৃণ্যকর্ম করেছিল এবং যারা মানবতাবিরোধী আপরাধে জড়িত ছিল ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।
আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের এবং ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালোরাতে শাহাদাৎবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে দূতাবাসের সব বাতি নিভিয়ে এক মিনিটের জন্য ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হয়। এরপর ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদাৎবরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার রুহুল আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
টিআর/আরবি