ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আজ ২৬ মার্চ, শনিবার। গত বছরের এই দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে চলে তাণ্ডব।
এ ঘটনায় ২৭ ও ২৮ মার্চ পর্যন্ত নারকীয় তাণ্ডব চলতে থাকে। টানা ৩ দিনের টানা সহিংসতায় নিহত ১৫ জন। এ সময় সরকারি-বেসরকারি অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান হামলা ও ভাংচুরের পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এসব ঘটনায় ৫৫টি মামলা হলেও এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। গ্রেফতার করা হয় অন্তত ৭ শতাধিক ব্যক্তিকে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোর এখনো পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি। এ নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি তাণ্ডবের শিকার হন। হামলা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও।
রিয়াজ উদ্দিন জামি বলেন, আমার ওপর হামলা করার পর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলাটির তদন্ত অগ্রসর হচ্ছে না।
সচেতন মহল বলছেন, যারা এসব কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আত্ততায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হোক।
স্থানীয় লোকজন বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় সরকারের যেমন ক্ষতি হয়েছে। তেমনি আমাদের সাধারণ মানুষেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। রেলস্টেশন প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল। ফলে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েেছে।
জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মিছিলে স্বাধীনতা বিরোধীরা অনুপ্রবেশ করে এই সহিংসতা চালিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যাধুনিক গান পাউডার থাকার কথা নয়। তবে ধর্মের নামে সকল প্রকার অধর্মের কর্মকাণ্ড রোধ করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা শান্তি চাই। ইসলাম কখনো সহিংসতাকে সমর্থন করে না। তবে তিনি দাবি করেন সেই ঘটনায় আলেম-ওলামারা জড়িত ছিল না।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে চার্জশীট দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এমএইচএম