ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাসানচরে জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি: প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
ভাসানচরে জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ভাসানচরে এখনো জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহযোগিতা চেয়েছি।

যাতে দ্রুত সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম কার্যক্রম শুরু করে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইবোজেল কোলম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইবোজেল কোলম্যান সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভাসানচরের বিষয়ে কয়েকটি অবজার্ভেশন দিয়েছেন সেটা হলো, জরুরি রোগী হলে ভাসানচর থেকে চট্টগ্রাম অথবা নোয়াখালী পাঠাতে হয়। এজন্য তিনি সেখানে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সাজেশন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভাসানচরে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মোবিলাইজ করা হয়েছে এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইবোজেল কোলম্যান বলেছেন এখানে যে পরিবেশ যে সুযোগ-সুবিধা এটা আরও বাড়াতে হবে। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা, তাদের লাইভলিহুডে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে যাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যেতে পারে এ ব্যাপারে তিনি তার সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন।  

প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ভাসানচরে যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানে অপারেশনের ব্যবস্থা করতে তারা বলছে। এছাড়া অপারেশনের রোগী হলে তাদের ট্রান্সফার করতে হয়। এখন সেখানে একটি হাসপাতাল আছে, সেখানে বিশেষজ্ঞ আছেন, সব রকমের ওষুধ আছে, এটাকে আমরা প্রাইমারি হেলথ কেয়ার বলতে পারি।  

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে প্রতিনিধি দল কি বলছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী আছে এর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রায় ৭০ লাখ শরণার্থী যোগ হয়েছে তারা এদের নিয়ে কাজ করছে। অন্যান্য শরণার্থী শিবিরে যেভাবে কাজ করছে এখানেও সেভাবে কাজ করবে। দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তারা চাপ তৈরি করবে।  

ইউএসএইড সরাসরি সাহায্য দেয় না উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, তারা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে আরও ফান্ড দেবে যাতে তারা এখানে কাজ করতে পারে। দ্রুত এ সাহায্যটা দেওয়া হবে যাতে তারা ভাষাণচরে কাজ শুরু করতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।