ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুরে পুলিশকে কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিলেন তিন ভাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ফরিদপুরে পুলিশকে কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিলেন তিন ভাই

ফরিদপুর: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ফাঁড়ির জন্য ফরিদপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রের ৩৪ শতাংশ জমি দান করেছেন আপন তিন ভাই। ওই জমির মূল্য দুই কোটি টাকার বেশি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

সোমবার (১৬ মে) দিনগত রাত ৮টার দিকে ফরিদপুরের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির জন্য ওই সম্পত্তির দলিল পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের হাতে তুলে দেন ওই তিন ভাই।  

দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালুদ্দিন ভুইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল, ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুনীল কুমার কর্মকার, পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক তুহিন লস্কর, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানিক মজুমদার, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, পুলিশ ফাঁড়ির জন্য জমি দান করা ওই তিন ভাই হলেন, ফরিদপুর শহরের গোপালপুর এলাকার খগেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে উত্তম সরকার, উজ্জ্বল সরকার ও উৎপল সরকার। তারা সবাই ব্যবসায়ী।

ফরিদপুরের ২ নম্বর হাবেলী গোপালপুরে অবস্থিত ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের অয়োজক ও সভাপতির বক্তব্যে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি জনগণেরও ভূমিকা রয়েছে। সমাজের কোথায় কি হচ্ছে এগুলো দেখার দায়িত্ব রয়েছে সমাজের বসবাসকারীদের। তারা যদি তথ্য না দেন তাহলে পুলিশের একার পক্ষে কাজ করা বেগবান হয়ে যাবে।  

তিনি বলেন, ফরিদপুর শহরের পরিসর বাড়ছে। শিগগিরই হয়তো ফরিদপুর সিটি করপোরেশন ও বিভাগ হবে। এজন্য পুলিশের তৎপরতাও বেড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও মূখ্য হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার তাঁর সময়কালে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতায় পুলিশ বিভাগের কার্যক্রমের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে বলেন, সরকারের একার পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির বিষয়টি দেখভাল করা সম্ভব না। এজন্য আমরা ব্যক্তি উদ্যোগকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছি। তিনি এসময় জমিদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের ঈশান গোপালপুর গ্রামের খগেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে উত্তম সরকার, উজ্জ্বল সরকার ও উৎপল সরকার এই জমি দলিল করে হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মৃত খগেন্দ্র নাথ সরকারের স্ত্রী লিপিকা সরকার উপস্থিত ছিলেন। মোট ৩৪ শতাংশ জমি তাঁরা পুলিশ ফাঁড়ির জন্য হস্তান্তর করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।