ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন বিল সংসদে উঠেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন বিল সংসদে উঠেছে

ঢাকা: দেশ-বিদেশের যে কোন উৎস, ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন’ আইন- ২০২২ বিল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিলে জনস্বার্থে ও বাণিজ্যিক বিবেচনায় কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পরিচালনা পরিষদকে।

রোববার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।  

বিলটি উত্থাপনের আগে ‘বডি কর্পোরেট’ ও ‘হোল্ডিং কোম্পানি’ স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, এতে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে উত্থাপিত আপত্তি গ্রহণ করেননি মন্ত্রী। পরে বিলটি সংসদ সদস্যদের সমর্থনের ভিত্তিতে উত্থাপন হয়।
‘পেট্রোবাংলা’ আইন ১৯৮৯ এর ভিত্তি আইন ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধিত ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় আইনটি প্রণয়ণ করা হয়েছে।

বিলে রহিত অধ্যাদেশ বলে সম্পাদিত ‘পেট্রোবাংলা’ সব কার্যাবলীর বৈধতা ও সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রহিত ‘বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন’ এ অধীনে গঠিত ‘বাংলাদেশে গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশনের অধীন গঠিত’ হয়েছে বলে গণ্য হবে। বিলে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনকালে ‘জনসেবক’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত এ বিলে বলা হয়েছে, ‘পরিচালনা পরিষদ জনস্বার্থে বাণিজ্যিক বিবেচনায় এর দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করবে। বিলে শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। কর্পোরেশনের সব শেয়ার সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া অধীনস্থ কোম্পানি থেকে লেভি, ফি, চার্জ, আদায় করতে পারবে। ’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন হবে  ২ শত কোটি টাকা। সরকার গেজেট দ্বারা মূলধনের পরিমাণ হ্রাসবৃদ্ধি করতে পারবে। কর্পোরেশন সরকারের ভতুর্কি, সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস বা ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করে মূলধন বাড়াতে পারবে। ’

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘১৯৮৫ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন (বিওজিসি) ও বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে (বিএমইডিসি) একীভূত করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন’ (বিওজিএমসি) গঠন করা হয়। পরে ১৯৮৯ সালে আশিংক সংশোধনের মাধ্যমে এই কর্পোরেশনকে ‘পেট্রোবাংলা’ নামকরণ করা হয়। উক্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের উদ্দেশ্য গঠিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে জারিকৃত বিলুপ্ত সব অধ্যাদেশের মধ্যে যেসব আবশ্যিক বিবেচিত হবে সেগুলো সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। ‘বাংলাদেশে অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল কর্পোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধন ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পারেশন’ শীর্ষক আইনের খসড়া বিল প্রণয়ন করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।