সাভার, (ঢাকা): সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় পরমাণু শক্তি কমিশনের ৪ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ধাক্কা দেওয়া ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেস’ পরিবহনের মালিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মালিকের নাম টিপু সুলতান।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটির মালিকের নাম জানতে পেরেছি। বাসটি রেজিস্ট্রেশন ব্যাংকের নামে ছিল। ব্যাংক একটি প্রত্যায়ন দিয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি টিপু সুলতান নামে এক ব্যক্তিকে বাসটি ক্রয়ের বিপরীতে লোন দিয়েছিল। তিনি টিআর ট্রেডিং হাউজের নামে বাসটি ক্রয় করেছিলেন। যেহেতু বাসটির কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণের ছিল সেহেতু বাসটির মালিকের নাম অটোমেটিক মামলায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম, বাসটি সেইফ লাইন পরিবহনের ব্যানারে চলছিল কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় দুর্ঘটনার দিন বাসটি নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের ব্যানারে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। নিউ গ্রিন এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষেও মেয়াদোত্তীর্ণ বাসটি তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে পরিচালনার জন্য দায় বহন করতে হবে। তাদের নাম ও মামলায় চলে আসবে। আমরা তদন্ত করছি।
বিআরটিএর তথ্য মতে, বাসটির ফিটনেস ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত, ট্যাক্স টোকেন ছিল ’১৫ সাল পর্যন্ত এবং রুটপারমিট ছিল না।
এর আগে, রোববার (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিভাজন টপকে পরমাণু শক্তি কমিশনের বাস ও একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান আরিফ, অন্তঃসত্ত্বা পূজা সরকার, কাউসার রাব্বী ও পরমাণু শক্তি কমিশনের বাসচালক রাজীব হোসেন ও ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ পরিবহনের বাসচালক মারুফ হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিল ৩০ জন। ঘটনার দিন রাতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৪।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
এসএফ/এএটি
