ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষ: গুলি-টিয়ারশেল, আহত ২০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষ: গুলি-টিয়ারশেল, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জনতা পুলিশ সংঘর্ষের সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শর্টগানের শতাধিক গুলি ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনিতে ঘটে এ ঘটনা।  

এর আগে রোববার (১২ জুন) রাতে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মুক্তির দাবিতে সকালে থানা ঘেরাও করতে গেলে জনতার সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয় পুলিশের।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‍্যাব পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জনতা।

শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের সময় আদমজী শাহী মসজিদে ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির কথার প্রতিবাদে ইমামের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ইমামের বক্তব্য চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক তাকে থামিয়ে বলেন- ভারতের ঘটনা ভারতে থাকুক, এখানে আমরা কোন বিশৃঙ্খলা যেন না করি। এসময় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মসজিদের ভেতরে একবার মারধর করেন।

পরে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীনের বাসায় তাকে আশ্রয় দিলে সেখানে তাকে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সেখানে গিয়ে জনতাকে নিবৃত করে তাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে তাকে রাজারবাগ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার আসামি ধরতেই রোববার দিবাগত রাতে অভিযানে নামে পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সকালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অর্ধশতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের শতাধিক গুলি করা হয়েছে।  

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু জানান, পুলিশ সদস্য রিপন, ইকরাম, বিহারী আব্দুল হামিদ মো. রনি সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
এমআরপি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।