ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যস্ত হয়ে উঠবে এক্সপ্রেসওয়ে

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২২
ব্যস্ত হয়ে উঠবে এক্সপ্রেসওয়ে

মাদারীপুর: বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হলো আজ। পদ্মাসেতু চালুর মাহেন্দ্রক্ষণ দেখলো সারা দেশ।

উচ্ছ্বাসিত, আবেগ তাড়িত পদ্মাপাড়ের মানুষ।

বিশেষ করে পদ্মাসেতু ব্যবহার করে ঢাকা যেতে হয় এমন জনগোষ্ঠী। পদ্মাসেতুর সঙ্গে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠবে সেতু চালুর দিন থেকেই। যদিও বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেই যানবাহন চলাচল করছে।  

তবে এতোদিন নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ না থাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ব্যস্ততা ছিল অনেকটাই কম। সেতু চালুর মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে একই সড়কে ঢাকার যাত্রাবাড়ী গিয়ে বিরামহীনভাবে নামতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সংখ্যা এবং গতিও অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবহন চালকেরা।

যানবাহনের চালকেরা জানান, এতোদিন যে পরিমাণ যানবাহন চলেছে এক্সপ্রেসওয়েতে, রোববার থেকেই এর সংখ্যা বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। দূরপাল্লার অসংখ্য পরিবহন সরাসরি এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা গিয়ে পৌঁছাবে। তাছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহনও এই রুট ব্যবহার করবে দ্রুত ঢাকা পৌঁছানোর জন্য। ফলে ব্যস্ততা বেড়ে যাবে এক্সপ্রেসওয়েতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। টানা চার বছর কাজ শেষে ২০২০ সালের মার্চে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় দীর্ঘতম এই সড়কটি। সেতু চালু হওয়ার পর এই সড়ক দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত কোথাও কোনো যানবাহনকে থামতে হবে না। তাছাড়া পুরো সড়ক পথ একই রকম মসৃণ। তখন মাত্র এক ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে রাজধানীতে। ৬ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েতে রয়েছে সবমিলিয়ে ২৫টি সেতু, ২৩টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ৫৪টি কালর্ভাট এবং ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস।

এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আলাদা করে রয়েছে দুইটি টোলপ্লাজা। ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য রয়েছে পৃথক দুটি লেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শিবচরের পাঁচ্চর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে ২০ কিলোমিটার। এরপর জাজিরা পয়েন্টের পদ্মাসেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক এবং মাওয়া থেকে যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দুরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। ৬ লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি 
নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কাস অর্গানাইজেশন (পশ্চিম)।

দূরপাল্লার পরিবহন চালকেরা জানান, পদ্মাসেতু উদ্বোধন হলো। এখন এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে যাত্রীরা নতুন অভিজ্ঞতা পাবে। ঢাকা যেতে কোনো রকম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে না। গাড়ি থেকে নামতে হবে না কোথাও।

এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের সূর্যনগর সংলগ্ন সড়কে টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি বন্ধ থাকায় দূরপাল্লার পরিবহন এতোদিন তেমন আসে নাই। এছাড়া পণ্যবাহী কোনো ট্রাক এই রুটে আসেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সড়কে বাস এবং ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন মিলিয়ে প্রায় ২ শত যানবাহন চলাচল করেছে। এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় ফাঁকা বলা চলে। কিন্তু এখন থেকে এই মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন চলবে।

তিনি আরও বলেন, মহাসড়ক ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত থাকবে। মহাসড়কে গাড়ির গতিও বেড়ে যাবে। পাল্টে যাবে এক্সপ্রেসওয়ের চিত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।