ঢাকা: দেশের অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের অবমাননা, হত্যা ও মুক্তমনা সাংস্কৃতিক কর্মীর ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের ৬৬ সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি বিবৃতি দিয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম যে, সাভারের আশুলিয়ার ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েদের উত্যক্ত করার কারণে শাসন করায় কলেজের শিক্ষক ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উৎপল সরকারের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফল ইসলাম জিতুর প্রহারে নিহত হওয়া, নড়াইলে ধর্ম অবমাননার দোহাই দিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষক ও ছাত্রের গলায় জুতার মালা পরানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা, দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, গবেষক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীর ওপর হামলাসহ দেশে একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মনে করি, পরিকল্পিতভাবে একের পর এক এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতির মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ পর্যাবেক্ষণ করলে দেখা যায় দেখা যায়, প্রতিটি ঘটনাই সাজানো এবং পরিকল্পিত। তবে এ সকল ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের স্বরূপ সবার সামনে উন্মোচন করা হচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
সরকার ও প্রশাসনের দিক থেকে এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে এটি সমাজের মধ্যে ক্রমেই বেড়েই চলেছে যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছোট করছে।
বিবৃতিতে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি এই সকল ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি অবিলম্বে উল্লিখিত প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তির দাবি জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এইচএমএস/এসআইএস