ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ভিড়ছে চাঁদপুর ঘাটে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ভিড়ছে  চাঁদপুর ঘাটে

চাঁদপুর : দেশে ঈদুল আযহা পালিত হবে পরশু দিন। তার আগে নড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ।

বাবা-মা, ভাই বোন, আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে যে যেভাবে পারছেন বাড়ি যাচ্ছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) তার এক ঝলক দেখা গেল চাঁদপুর ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বেশ কয়েকটি লঞ্চে।

জানা গেছে, সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী প্রত্যেকটি লঞ্চে দুই থেকে তিনগুণ যাত্রী চাঁদপুর আসছেন। দুপুরে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে এমভি মিতালী-৭। তার কিছুক্ষণ আগে ঘাটে ভেড়ে এমভি আবএ জম জম-৩। দুটিই লঞ্চের নির্ধারিত যাত্রী সংখ্যার চেয়ে ১৫০০ থেকে ১৬০০ জন যাত্রী বেশি এসেছেন।

যাত্রীরা জানালেন, ঘাটে এসে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করা কষ্টদায়ক। তাই যে লঞ্চ পেয়েছেন, তাতেই উঠে পড়েন। বাড়ি আসতে হবে যেকোনো উপায়ে। তাই দ্বিতীয় কোনো চিন্তা করেননি।

লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সহজে চলাচলের জন্য অন্যতম মাধ্যম হওয়ায় ভোলা ছাড়াও লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর যাত্রী ওঠেন ঢাকা-চাঁদপুরের লঞ্চে। তাই যাত্রী সংখ্যাও অনেক বেড়ে যায়। এতে নিয়মিত যাত্রীদের ঈদের সময় বেশি কষ্ট হয়।

চাঁদপুর ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে সর্বশেষ চাঁদপুর প্রশাসনের সমন্বয় কমিটির সভায় বলেছি কোনো লঞ্চের মূল ছাদে যেন যাত্রী বহন না করে। লঞ্চের মধ্যে যাত্রী নিলে সমস্যা হয় না। কিন্তু ছাদে যাত্রী নিলে লঞ্চ স্বাভাবিক থাকে না। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়টি সদরঘাট বন্দর সমন্বয় কমিটি এবং মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ কমিটি মনিটরিং করবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কথা না। প্রয়োজনে স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা করবে।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা একেএম কায়সারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ব্যবস্থাপনা খুবই চমৎকার। যাত্রীদেরকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত চাঁদপুর-ঢাকা রুটে কোনো সমস্যা নেই। অতিরিক্ত যাত্রীর বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি যাত্রীদের মন মানসিকতার বিষয় জড়িত। যাত্রীরাও অনেক সময় সহযোগিতা করতে চায় না। যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করে লঞ্চে ওঠে এবং নামে। একটি কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা রুটে পর্যাপ্ত লঞ্চ আছে। তবে চাঁদপুর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের সংখ্যা কম। এ জন্য আমরা স্পেশাল লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৫টি স্পেশাল লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ছেড়েছে। শুক্রবার আরও ৬টির ব্যবস্থা রেখেছি। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৫৩ ঘণ্টা, ৮ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।