ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজাপুরে ব্রিজের এপ্রোচ সড়কের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
রাজাপুরে ব্রিজের এপ্রোচ সড়কের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি!

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুরের গ্রামীণ জনপদে ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচ সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে সংস্কার কাজ। এভাবে রাস্তার মধ্যে খুঁটি রাখায় সড়কটি যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের গোপালপুর জগাইর হাট এলাকায় ব্রিজের উভয় ঢালে নির্মাণাধীন সড়কে দেখা গেছে এমন চিত্র।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম লালু বাংলানিউজকে বলেন, গোপালপুর-জগাইরহাট সড়কের কেওতা ব্রিজের উত্তর পাড়ের ঢালে ও জগাইর হাট এলাকার ব্রিজের পূর্ব পাড়ের ঢালে একটি করে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। সড়ক পাকা করণের কাজ করার আগে খুঁটি দুইটি সরানো না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার পাকা করার পরে খুঁটি সরাতে গেলে সড়কের ক্ষতি হবে।

তিনি আরও বলেন, ওই বিদ্যুতের খুঁটি আনুমানিক সাত থেকে আট বছর আগে বসানো হয়। তখন ওই ব্রিজ ও তার রাস্তা সরু থাকায় খুঁটিগুলো রাস্তার সাইডে ছিল। বর্তমানে সড়কটি চওড়া করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সেগুলো রাস্তার মাঝখানে পড়েছে। সড়কটি পাকা (পিচ ঢালা) করণের কাজ ওই সড়কের এক প্রান্ত দিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। রাজাপুরে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির খামখেয়ালীতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। রাস্তাটি পাকা করার আগেই খুঁটি দুইটি সরানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা পল্লীবিদ্যুতের এজিএম মধুসূদন রায় বলেন, বহু আগের বিদ্যুতের খুঁটি পূর্বের রাস্তার পাশেই ছিল। কিন্তু নতুন রাস্তা ও ব্রিজ এক্সটেনশন করায় খুঁটি দুইটি রাস্তার মধ্যে পড়ে গেছে। ওই খুঁটি সরাতে যে খরচ হবে সেটা এলজিইডি বিভাগকে বহন করতে হবে। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর মাধ্যমে উপজেলা পল্লীবিদ্যুত অফিসে চিঠি দিয়ে ওই খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই খুঁটি দুইটি সরাতে ঠিকাদারসহ বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাগতে পারে। সেই খরচ কে বহন করবে এমন ভেবে পল্লীবিদ্যুত বিভাগ সেগুলো সরাচ্ছে না। ইতোমধ্যে রাস্তার ঠিকাদার উপজেলা পল্লীবিদ্যুত অফিসে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু সেই চিঠিতে কাজ হয়নি। এজিএম মধুসূদন রায় আমাকে চিঠি দিতে বলেছেন। শিগ্রই তাকে চিঠি দিয়ে সমস্যাটি সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।