ঢাকা: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান। শহীদ শেখ কামালের জীবন, উদ্দীপ্ত যৌবনের ও কর্মের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন এদেশের ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পুরোধা। অতুলনীয় মেধার অধিকারী শেখ কামাল খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ, সংগীত জগত অথবা বিতর্ক সব ক্ষেত্রে আলোড়ন তুলেছিলেন। যারা তার সান্নিধ্যে এসেছেন তারা অনুভব করেছেন তার স্নিগ্ধ, হাস্যেজ্জ্বল, মমত্ববোধ সম্পন্ন চরিত্র। সৃষ্টি আর সম্ভাবনায় ঠাসা ছিল তার এ সংক্ষিপ্ত জীবন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর কালরাতে ঘাতকের গুলিতে শাহাদাত বরণকারী শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল তার সক্রিয় কর্মজীবন, দৃপ্ত পদচারণা ও অতুলনীয় অবদানের জন্য বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে চিরঅনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
আলোচনা পর্বে শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বক্তারা আলোকপাত করেন। আলোচকরা বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন সৃজনশীল উদ্যমী প্রাণবন্ত ও রাজনীতি সচেতন তরুণ। যিনি মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন আবার যুদ্ধ পরবর্তী একজন সংগঠক হিসেবে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তার জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া জগতের রূপকার শেখ কামালের কর্মজীবনের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২২
টিআর/আরবি