ঢাকা: ‘পূর্ব পরিচিত একজনের নবজাতককে দেখতে তাদের বাসায় যান শাহিদা বেগম ও সোহেলরানা দম্পতি। সুযোগ বুঝে সেই নবজাতককেই চুরি করে পালিয়ে যান তারা।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকার সাভারের বাসিন্দা শ্রমজীবী শামসুন্নাহার-মোহাম্মদ বাদল দম্পতির ২ সেপ্টেম্বর একটি ফুটফুটে ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তারা নবজাতককে নিয়ে নিজেদের সাভার রাজ ফুলবাড়িয়া রাজারহাট এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যান। ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই দম্পতির পূর্ব পরিচিত শাহিদা বেগম ও সোহেলরানা দম্পতি তাদের বাসায় নবজাতকটিকে দেখতে যান। মা শামসুন্নাহার নবজাতকটিকে শাহিদার কোলে দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রান্নাঘরে যান। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহিদা ও সোহেলরানা চারদিনের নবজাতকটিকে চুরি করে দ্রুত পালিয়ে যান। ভিকটিমের মা রান্নাঘর থেকে এসে তাদের দেখতে না পেয়ে তার স্বামীকে খবর দেন। পরে তারা বিভিন্ন এলাকায় ওই দম্পতির খোঁজ করেন। একপর্যায়ে সোহেলরানা ভিকটিম নবজাতকটির মা শামসুন্নাহারকে জানায়, নবজাতকটি তার স্ত্রী শাহিদার হেফাজতে সিরাজগঞ্জে আছে এবং শিশুটিকে ফেরত পেতে হলে তাদেরকে নগদ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
শামসুন্নাহার ও বাদল দম্পতি দিনমজুর হওয়ায় তাদের পক্ষে এতো অর্থ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় ভিকটিম শিশুটির মা র্যাব-৪ এর অভিযোগ করেন। পরে র্যাবের তদন্তের ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারসহ শাহিদাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিদা মোটা অংকের মুক্তিপণের জন্য ভিকটিম নবজাতকটিকে অপহরণ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
পিএম/এএটি