ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেনকে কাগজপত্রে মৃত দেখিয়ে এককালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।  

আবুল হোসেন এ অভিযোগ করেছেন।

তিনি উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তরফ রামঘুনিপাড়ার মো. বদর উদ্দিন মিয়ার ছেলে। । বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ দিন দেশে না থাকায় একটি কুচক্রি মহল তার বাবাকে হাত করে এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগে জানা যায়। ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।

আবুল হোসেন বিয়ে করেননি। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বর্তমানে বেকড়া ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তার বাবা বদর উদ্দিন এখনো জীবিত। তার মা মারা গেছেন। দুই ভাই এক বোন তারা। তিনি চার বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। গত এক বছর আগে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন।

তার বাবার সহযোগিতায় সাবেক কমান্ডার সুজায়েত হোসেন ও মো. হানিফ খান তার ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আর এ টাকা উত্তোলন করে দিচ্ছেন তার বাবা বদর উদ্দিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়ে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (অব.) সেনা সদস্য। তার গেজেট নং ৭০৮৪। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধদের যে তালিকা করেছে, তাতে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় তার ক্রমিক নম্বর ৫২১ ও পরিচিতি নম্বর ০১৯৩০০০৭৫৬৮। দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাকে থাকতে হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চাকরি শেষে তিনি তার মুক্তিযোদ্ধার সনদসহ সব কাগজপত্র তার মায়ের কাছে রেখে ভারতে চলে যান। দীর্ঘ দিন পর বাড়ি ফিরে এসে চাকরির ও মুক্তিযোদ্ধার সব কাগজপত্র খোঁজ করেন আবুল হোসেন। তখন বাড়ির লোকজন জানান, সব কাগজপত্র হারিয়ে গেছে। পরে তিনি জানতে পারেন, তাকে মৃত দেখিয়ে তার বাবা বদর উদ্দিন প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা  উত্তোলন করে আসছেন।  

এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন, আমাকে মৃত দেখিয়ে যারা ভাতা উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে ভাতা আমার নামে করার দাবি জানাচ্ছি।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।