ঢাকা: বাংলাদেশে গ্যাসের মজুদ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য নিয়ে তৈরি করা খসড়া প্রতিবেদন আগামীকাল শুক্রবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিটের কাছে আসবে।
ইউনিটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খানের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন পাঠাবে মার্কিন কোম্পানি মেসার্স গুস্তাভ্সন অ্যাসোসিয়েটস্।
এ ব্যাপারে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’কে বলেন, “পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গুস্তাভ্সন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চার জুন খসড়া প্রতিবেদন ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের পাঠাবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। ”
সর্বশেষ মুজদের পরিমাণ সমন্ধে তিনি কিছুই বলেননি।
হাইড্রোকার্বন ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ‘প্রেট্রোলিয়াম রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সমীক্ষার আওতায় ২০০৯ সালের পাঁচ নভেম্বর মার্কিন কোম্পানি মেসার্স গুস্তাভ্সন অ্যাসোসিয়েটস্ এলএলসি সঙ্গে গ্যাসের মজুদের সর্বশেষ তথ্যের জন্য চুক্তি হয়। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কীভাবে প্রতিবেদন করা হবে তার একটি নমুনা দেওয়া হয় হাইড্রোকার্বন ইউনিটকে। প্রতিবেদন তৈরির নমুনা বিষয়ে হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সম্মতি পাওয়ার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গুস্তাভ্সন বাংলাদেশের গ্যাসের মজুদ নিয়ে কাজ শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা গ্যাস মজুদ বিষয়ে খসড়া প্রতিবেদনের কাজ শেষ করে।
হাইড্রোকার্বন ইউনিট প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আগামী ১৩ জুন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন সভার আয়োজন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১০
এইচএ/বিকে/জেএম