নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে (৪০) ছুরিকাঘাত করে হত্যায় অভিযু্ক্ত আসামি স্বামী কাউছার আলম তুহিনকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল নয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোররাত তিনটার দিকে ফতুল্লার ফাজিলপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় গ্রেফতার কাউছার আলম তুহিন।
ঘটনার একদিন পর নিহতের বড় ছেলে নাজমুল ইসলাম রবি বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা জানান, রোববার সকাল নয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইসদাইর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার নাজমা আক্তার সৌদি প্রবাসী ছিলেন। দেড় বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তার দুবাই যাওয়ার কথা ছিলো। স্বামী কাউছার আলম তুহিন বেকার ও মাদকাসক্ত। প্রায় সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। ঘটনার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্ত্রীকে। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে নাজমুল ইসলাম রবি বলেন, দুই ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে আমাদের পরিবার। পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের বুকের নিচে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বাবা। তাৎক্ষণিক ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাজমা বেগমের বাড়ি বরিরাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কবাই ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রাম। তিনি আব্দুল গনি মিয়ার মেয়ে। তিনি দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ফতুল্লার ফাজেলপুরস্থ রকির বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২২
এমআরপি/এসএ