বাগেরহাট: দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা পরে বাগেরহাটে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও স্থানীয় সব রুটে বাস চলাচল হয়।
এদিকে বিএনপি বলছে, সমাবেশ পণ্ড করতে না পেরে বাধ্য হয়েই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন সরকার দলীয় লোকেরা। আর ৩৬ ঘণ্টা পরে হলেও বাস চলাচলে খুশি সাধারণ মানুষ।
শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সরেজমিনে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় যাত্রী আকর্ষণে হাক-ডাক দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সেখানে স্থানীয় ও দূরপাল্লার যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
যশোর এমএম কলেজের প্রভাষক মো. ফেরদাউস বলেন, দুই দিনের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কর্মস্থলে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ভ্যানে করে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আশাকরি ভোগান্তি ছাড়াই যশোর পৌঁছাতে পারব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী লাবিবা উম্মে তাসনিম বলেন, রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। দুপুরের পর খবর পাই বিকেল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। দ্রুত এসে টিকিট নিলাম। আশাকরি সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকাগামী এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য সাধারণ মানুষকে এভাবে জিম্মি করা ঠিক নয়। যারা রাজনীতি থেকে লাভবান হবেন, শুধু তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষকে এসবের বাইরে রাখার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা না যেতে পারেন, সেই কারণে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাদের ধর্মঘটে সমাবেশে যখন কোনো প্রভাব পড়েনি, তখন বাধ্য হয়ে তারা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছেন।
বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে সব রুটে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০২২
এমএমজেড