ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নোয়াখালী উপকূলে ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে সিত্রাং

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
নোয়াখালী উপকূলে ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে সিত্রাং

নোয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে হতাহতের ঘটনা কম হলেও কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ ঘরবাড়িতে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে জেলার ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লক্ষাধিক মানুষ তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেছেন। তবে, হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জোয়ারের পানি থাকায় এখনো কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে গৃহপালিত পশুপাখি ও মালামাল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান নেওয়া অনেক মানুষ ভোরের দিকেই তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন। কিন্তু অনেক গ্রামে জোয়ারের পানি থাকায় কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো মানুষ রয়েছেন। জোয়ারের পানি নেমে গেলে তারাও বাড়িতে ফিরবেন।  

স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাসে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে উপজেলায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল ও আড়াইশ হেক্টর জমির উঠতি শাকসবজি পানিতে ডুবে গেছে। নিঝুম দ্বীপ, তমরদ্দি, নলচিরা, সুখচর, হরণী ও চানন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।

ভারী ঝড়ো হাওয়াতে বসতঘরের টিনের আঘাতে তমরদ্দিতে মেহেদী হাসান (৩২), নলচিরায় গাছের ঢাল পড়ে জগদীশ চন্দ্র দাশ (৪০)-সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এরমধ্যে গুরুতর আহত মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিকেল ও সন্ধ্যায় হাতিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও তাদের অনেকেই শুকনা খাবার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, জোয়ারের লবণাক্ত পানি উপকূলীয় এলাকার ক্ষেতে ঢুকে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঝড়ো বাতাসে কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলায় কিছু পোলট্রি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত এবং বসত ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে এক শিশু মারা গেছে। কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়নের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি উপজেলায় ইউএনওর মাধ্যমে শুকনা খাবার কেনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। হয়তো কোথাও আগে-পরে শুকনা খাবার পৌঁছাতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।