ঢাকা, রবিবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তালাক দিতে চাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
তালাক দিতে চাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা!

মেহেরপুর: তালাক দিতে চাওয়ায় স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে (৩২) মাথা থেঁতলে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী বিদ্যুত হোসেন।  

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের হুদাপাড়ায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাতের কোনো এক সময় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, পর পর চারজন স্ত্রী বিদ্যুতকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। মাত্র এক মাস আগে সাবিনাকে বিয়ে করে ঘরে এনেছিলেন বিদ্যুত। পঞ্চম স্ত্রী সাবিনাও তাকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন। এবার সেটা হতে দেননি পাষণ্ড স্বামী বিদ্যুত। স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার আগেই তাকে পৃথিবী ছাড়া করলো। ঘুমন্ত অবস্থায় ভারী কোনো কিছু দিয়ে মাথা থেঁতলে সাবিনাকে হত্যা করা হয়েছে।

খবর পেয়ে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার সময় গাংনী থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে সাবিনাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে পালিয়ে যায় বিদ্যুত। খবর পেয়ে নিজ ঘর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, চার বছরের মধ্যে বিদ্যুত হোসেন পাঁচটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী পার্শ্ববর্তী জেলা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের আঁখি খাতুন বিয়ের মাত্র ছয়দিনের মাথায় স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রী গাংনী উপজেলার ইসমত আরা বিয়ের এক মাসের মধ্যে তালাক দিয়ে চলে যান। তৃতীয় স্ত্রী চুয়াডার আলমডাঙ্গার জান্নাতুল নেছা বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় তালাক দিয়ে চলে যান। চতুর্থ স্ত্রী পার্শ্ববর্তী সহড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের মেয়ে কবিতা খাতুন বিয়ের মাত্র ছয়দিনের মাথায় তাকে ছেড়ে চলে যান। এসব বিয়ের কথা গোপন রেখে পঞ্চমবারের মত বিয়ে করেন কুমারীডাঙ্গা গ্রামের সাত্তার আলীর মেয়ে সাবিনা খাতুনকে।  

সাবিনা খাতুনের মা নিসারননেছা বলেন, তিনদিন আমার বাড়িতে থেকে গতকালই তারা নিজ বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়েই মেয়েকে হত্যা করলো। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আগে বলেছিল বিদ্যুতের একটা বিয়ে হয়েছিল। সেই বউ চলে গেছে এজন্য আমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। তার শারীরিক সমস্যা ছিল। তারপরও আমার মেয়ে বলেছিল স্বামীকে চিকিৎসা করাতে হবে। আজ আমার মেয়েকেই হারিয়ে ফেললাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।