ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ড্রেজার ডুবি: নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের বাড়িতে শোকের মাতম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
ড্রেজার ডুবি: নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের বাড়িতে শোকের মাতম স্বজনদের আহাজারি

পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আট শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।  

পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে আছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সাগরে ড্রেজার ডুবে এই আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। এ খবর নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছার পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নিখোঁজ আট শ্রমিক হলেন- সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ির আ. রহমানের ছেলে মো. তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা ও ইমাম মোল্লা এবং আ. হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা। এছাড়া ওই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মো. বসার হাওলাদার, নুরু সর্দারের ছেলে মো. আলম সর্দার, সেকান্দার রারির ছেলে মো.জাহিদ রারি এবং ফকির বাড়ির রহমান ফকিরের ছেলে মো.আল-আমিন ফকির নিখোঁজ রয়েছেন।

সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের চর জৈনকাঠি গ্রাম পরিণত হয়েছে শোকের গ্রামে। নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়িতে চলছে মাতম। কেউ বা সংসারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। আবার কেউবা স্বামীকে হারানোর সংবাদে আহাজারি করছেন। নিখোঁজ সন্তানের চিন্তায় বাবা-মায়ের আর্তনাদে ভারী হয়ে পড়েছে গ্রামের বাতাস। বাবা হারানো সন্তানদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না প্রতিবেশীরা। ভবিষ্যতের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

চার সন্তানের জননী খাদিজা বেগম, তার স্বামী শাহিন মোল্লাকে হারিয়ে পাগল প্রায়। তিনি কাঁদছেন আর বলছেন চার সন্তানকে কে দেখবে কে খাওয়াবে।

নিখোঁজ দুই শ্রমিকের বাবা আনিচ মোল্লা বলেন,‘আমাদের বাড়ির চার ছেলে নিখোঁজ। এর মধ্যে আমার দুই ছেলে। ওরা এক মাস আগে ড্রেজারে চুক্তিতে কাজ করতে গেছে। গতকাল যখন বন্যা শুরু হইছে তহন আমাগো লগে ফোন দিয়া কথা কইছে। এর কতক্ষণ পর থেকে ফোন বন্ধ। আমি কিছু চাইনা আমার পোলা দুইডার লাশ চাই, আমার পুত আমার কাছে ফিরাইয়া দেন। ’

নিখোঁজ শ্রমিক মো. তারেক মোল্লার বাবা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার বুকটা খালি হইয়া গেছে। কে খাওয়াইবে আমাগো, সেই তো একমাত্র উপার্জন করতো।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।