ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় চার বার বাড়ানো হলো।
গত ২৬ মে সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ আরো চার মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত বিশেষ জজ ইসমাইল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সময় বাড়ানোর এ আদেশ দেন।
এই মামলার অন্যতম আসামি মাওলানা আবু তাহেরের পে তার আইনজীবী জসিম উদ্দিন জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপরে আইনজীবী মো. আকরাম উদ্দীন শ্যামল জানান, এর আগে গত তিন অক্টোবর, তিন জানুয়ারি এবং তিন এপ্রিল সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়।
২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর মুফতি হান্নানসহ ২২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়েছিল। মামলার স্যা গ্রহণ চলার এক পর্যায়ে ৬১ জনের সাী নেওয়া হয়। মামলাটির পুনরায় তদন্ত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। গত বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মাসদার হোসেন রাষ্ট্রপরে দাখিল করা আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আদালত দুই মাসের মধ্যে অধিকতর তদন্ত— প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেন। পরে দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় মামলাটি ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই মাসের মধ্যে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় তিন বার বাড়তি সময় পান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ তদন্তের সময় বর্ধিত করার আবেদনে বলেন, এর আগে এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্টপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম,পাকিস্তানি নাগরিক আব্দুল মজিদ বাট ও আরিফুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ ও সরবরাহের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ মামলায় দু’জন গুরুত্বপূর্ণ স্বাীর স্যা রেকর্ড করা হয়েছে। আব্দুল মজিদ বাট গেনেডের উৎস সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাীদের তথ্য যাচাই বাচাই করা হচ্ছে অন্য আসামিদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার জন্য আরো সময় প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জন নিহত হন। ওই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী। ওই নৃশংস ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১০
এমআই/বিকে/জেএম