ঢাকা: ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপ-প্রধান মালেকা পারভীন ও মিনিস্টার (কনস্যুলার) আহমেদ তারিক সুমীন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নির্ঝর অধিকারী অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের পটভূমি, তাৎপর্য, অন্যান্য রাষ্ট্র কর্তৃক সংবিধান দিবস পালন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের পরিপূরক ভূমিকা ও ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) আহমদ তারেক সুমীন তার বক্তব্যে সংবিধানের চারটি মূলনীতির তাৎপর্য তুলে করেন।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংবিধান দিবস প্রথমবারের মতো উদযাপন করতে পেরে আমরা জাতি হিসেবে গর্ববোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের প্রায় নয় বছর সময় অতিবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে স্বল্প সময়ে আমাদের একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদটি উপস্থিত শ্রোতামণ্ডলীর উদ্দেশে পাঠ করেন এবং এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের গৃহীত নানাবিধ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের নজির তুলে ধরে জাতির পিতার বিচক্ষণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মাসূমুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
টিআর/আরবি