ঢাকা, রবিবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নড়াইলে গৃহবধূকে হত্যা, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২২
নড়াইলে গৃহবধূকে হত্যা, আটক ৩ স্বজনদের আহাজারি।

নড়াইল: নড়াইলে নিজ ঘরের বিছানায় আছিয়া বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


 
নিহত আছিয়া বেগম ওই গ্রামের রনি শেখের স্ত্রী এবং একই গ্রামের এখলাছ শিকদারের মেয়ে।
 
ঘটনার পর রনি শেখ পালিয়ে গেছেন। পুলিশ রনির বাবা লিটু শেখ ও দুইভাই ইমরান শেখ ও রুবেল শেখকে আটক করেছে।  
 
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চার বছর আগে রনি শেখের সঙ্গে প্রেম করার পর পারিবারিকভাবে আছিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। তাঁদের ঘরে আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। রনির অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া শ্বশুরবাড়ির জমি নিজ নামে লিখে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছিল রনি। এর মধ্যে কয়েকটি জমি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ আছিয়ার পরিবারের।
 
আজ দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়রা রনিদের বসতঘরের জানালা দিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হয়। স্থানীয়রা এসে আগুন নেভানোর পরে ঘরের বিছানায় আছিয়ার গলাকাটা ও দগ্ধ মরদেহ দেখতে পায়। এসময় বিছানার চাদর, তোষক, কাঁথা ও আছিয়ার গায়ের কাপড় পুড়ে যায়।
 
নিহত আছিয়ার খালাতো ভাই এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর থেকেই আছিয়ার নামের সম্পত্তি রনির নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কয়েকদিন আগে তাতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়তই আছিয়াকে মারধর করতো, এখন তাকে কুপিয়ে মেরে ফেললো।
 
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দাম্পত্য কলহের কারণে রনি তাকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর রনি পালিয়ে গেছেন। ওই বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে তাঁরা দুজনই থাকতেন। মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।