টাঙ্গাইল: শিরোনাম দেখে আশ্চর্য হলেও ঘটনাটি সত্য। ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান নিজের ২৭ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন! ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দলিলে সই করে তিনি জমিটি বিক্রি করেন!
কীভাবে এমন অসম্ভব সম্ভব হলো, এটি বড় প্রশ্ন।
সম্প্রতি মজিবর রহমান ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিপত্তি বাঁধে বর্তমান মালিক ও আসল অংশীদারদের মধ্যে। এ ঘটনায় মজিবর রহমানের মেয়ে নাজমুন নাহার সখিপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দুই দলিল লেখকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তারপরই আসে আসল তথ্য।
সখিপুর সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক এমএ লতিফ ও আবু হানিফ মিয়া। তারাই কারসাজি করে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি অন্যের কাছে বিক্রি করেছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় ইউএনওর কাছে যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটি থেকে জানা যায়, তৎকালীন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের মৃত্যু হয় ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সখিপুর সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক এমএ লতিফ ও আবু হানিফ মিয়া মজিবর রহমানের সই জাল করে তার ২৭ শতাংশ জমি অন্যের নামে লিখে দেন।
২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মৃত মজিবর রহমানের বাড়িতেই কমিশন গঠন করে দলিলটি রেজিস্ট্রি করা হয় বলে দলিলে দেখানো হয়েছে।
নাজমুন নাহার জানান, মৃত্যুর পর তার বাবা কীভাবে দলিলে সই করতে পারেন, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। জমি বিক্রি নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। সই জাল করে জমি বিক্রয়কারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দলিল লেখক এমএ লতিফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেও মীমাংসা হয়েছে। নতুন করে অভিযোগ ওঠার পর স্থানীয় কর্তা-ব্যক্তিরা বিষয়টি ফের মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন।
ইউএনও ফারজানা আলম এ ব্যাপারে বলেন, অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকেই ডেকে আনা হয়েছিল। ওই দলিল বাতিলের জন্য অভিযোগকারীকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর খোঁজ নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
এমজে