ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মধুমতি নদীতে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
মধুমতি নদীতে হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

গোপালগঞ্জ: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত টুঙ্গিপাড়ার মধুমতি নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এ নৌকা বাইচ।

এদিকে বাইচ দেখতে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ মধুমতি নদীর দুই তীরে ভিড় করেন। এছাড়া ছোট বড় বিভিন্ন নৌকায় ঘুরে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ উপভোগ করেন এ নৌকা বাইচ। নদী, হাওর, বাওড় ও বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জে শত বছর ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
 
মধুমতি নদীর উত্তর পাড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আর দক্ষিণপাড়ে বাগেরহাটের মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা। এই দুই উপজেলার মানুষ আগে ভাগেই মধুমতি তরে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন বাইচ দেখতে। মধুমতি নদীর ওপর পাটগাতী সেতু ছিল লোকে লোকারণ্য। আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি দুই জেলার মানুষের মধ্যে একটা সেতু বন্ধনও তৈরি হয়।

বাইচে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে অন্তত ২৫টি বাছারি নৌকা অংশ নেয়। এবারের বাইচে নারী মাল্লাদের তিনটি নৌকাও অংশ নেয়। যা হাজার হাজার মানুষকে বাড়তি আনন্দ দেয়।    

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ নৌকা বাইচে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।

বাইচ উদ্বোধন করেন শেখ হেলাল উদ্দীন এমপির সহধর্মিনী রূপা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রী পিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু। এছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বশার খায়ের।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের নির্মল বিশ্বাস (৭০) বলেন, আমার নৌকা বাইচ দেখতে খুব ভাল লাগে। এটি আবহ গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এটা দেখে আনন্দ উপভোগ করা যায়। এখানে নৌকা বাইচের খবর পেয়ে ছুটে এসেছি।

টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাজারের শিবানী সরকার ও অজয় সাহা বলেন, গোপালগঞ্জ নদী, হাওর-বাওড় ও বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানকার বিভিন্ন গ্রামে নৌকা বাইচ হয়। এই বাইচ উপভোগ করে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ ক্লান্তি দূর আর আনন্দ উপভোগ করেন।

টুঙ্গিপাড়ার জোয়ারিয়া গ্রামের মধুময় বিশ্বাস বলেন, বয়সে হয়েছে, তারপরও নৌকা বাইচের কথা শুনলে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই বাইচ দেখার জন্য নদীর পাড়ে ছুটে এসেছি। এই বাইচে অনেক নৌকা অংশ নিয়েছে। দেখে অনেক ভাল লেগেছে, আনন্দও উপভোগ করেছি।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শফিকুল আলম বলেন, মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচের খবর শুনে দেখতে আসলাম। এই বাইচে কয়েকটি নারী মাল্লাদের নৌকাও অংশ নিয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের এই অংশগ্রহণ ভালই লেগেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর  ১৯, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।