ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউইয়র্ক

জাতিসংঘের নগর ও জলবায়ু বিষয়ক দূত হলেন ব্লুমবার্গ

শিহাবউদ্দীন কিসলু, স্পেশাল করেসপন্ডেপন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪
জাতিসংঘের নগর ও জলবায়ু বিষয়ক দূত হলেন ব্লুমবার্গ

নিউইয়র্ক: প্রথমবারের মতো নগর ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে জাতিসংঘ। নিউইয়র্ক সিটির সদ্যবিদায়ী মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ এই পদে অভিষিক্ত হয়েছেন।



শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এই ধনকুবেরকে জাতিসংঘের নগর ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত পদে নিয়োগ দেন।

আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনের আগেই গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর লক্ষ্যে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর উদ্যোগে গতি সঞ্চার করতে এই পদে দূত নিয়োগ দেওয়া হলো।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত পদে নিয়োগ পাওয়ায় ব্লুমবার্গকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাস্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, নগরগুলোতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে এবং গ্লোবাল ক্লিন এনার্জি ইকোনমি অর্জনে ব্লুমবাগই সেরা। এই দুই চ্যালেঞ্জে গুরুত্ব ও দায়িত্ব অনুধাবন করে ব্লুমবার্গ এগোবেন বলেই আশা করছি।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে ‘সুর্নিষ্ট সমাধান’ উপস্থাপনে ব্লুমবার্গ তার দীর্ঘ মেয়াদী আধুনিক কৌশল নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সৃষ্টিতে নগরগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে সহায়তা করবেন।

বিশ্বের বড় শহরগুলোতে জলবায়ু বিষয়ক অর্থবহ ও টেকসই স্থানীয় ও বৈশ্বিক উদ্যোগে নিয়োজিত ‘বোর্ড সি-৪০ ক্লাইমেট লিডারশিপ গ্রুপ’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাইকেল ব্লুমবাগ।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ‘প্রত্যাশা’ বাড়িয়ে দেওয়া নতুন ও জোরালো উদ্যোগের মাধ্যমে ‘দৃঢ় ঘোষণা এবং পদক্ষেপ’ নিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জাতিসংঘের ফ্রেম ওয়ার্ক কনভেনশনে দেওয়া ভাষণে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ব্লুমবার্গ।

তখন পানি, বায়ু ও ভূমিতে দূষণ কমাতে পুরনো ফায়ার হাইড্রেন পুনঃসংস্কার করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থায় জনপরিবহনের ব্যবস্থা করে বৃহৎ পরিসরে উন্নয়ন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ভবন তৈরি এবং ট্রাফিক জ্যাম কমাতে ব্লুমবার্গের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন’ (এসডি) সংস্থার জাতিসংঘ পরিচালক জেয়ান ডি স্যানো বলেন, ঠিক এ ধরনের উদ্যোগই আমরা শহরগুলোতে নিতে চাই।

জবাবে ব্লুমবার্গ বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য থাকলেই ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন’ অব্যাহত থাকে এবং গতিশীল হয়।

শুক্রবার দেওয়া নিজের অনানুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কেরি বলেন, ২০১৩ সাল যখন একবিংশ শতাব্দীর উষ্ণতম এবং গত এক শতাব্দীর ১৫তম বছর হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে, তখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে ব্লুমবার্গ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেই আমরা আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিউইয়র্ক এর সর্বশেষ